মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০১৯

পিপল পার আওয়ারে স্টার আউটসোসিং এর কাজ করতে কিভাবে শুরু করবেন


 পিপল পার আওয়ারে বায়ার সেলারের সার্ভিস রেটিং থাকে। আপনি পিপল পার আওয়ারে অ্যাকাউন্ট খোলার পরেই অন্য, তা হোক বায়ার বা সেলারদের স্টার দিতে পারবেন। স্টার দিলে বোঝা যাবে সেই সার্ভিস বা অফারকৃত কাজটির মান উন্নত।
টপ নেভিগেশন বার: টপ নেভিগেশন বারে চারটি আইকন আছে।

১। পোস্ট আওয়ারলি: পোস্ট আওয়ারলি হচ্ছে ক্ষুদ্র কাজের অফার, যা এক থেকে পাঁচ দিনেই আপনি বায়ারকে করে দিতে পারবেন, তা যেকোনো ধরনের সেবা হতে পারে। গ্রাফিক, ওয়েব, প্রোগ্রামিং, বিজনেস প্রপোজাল-সবই  আওয়ারলির আওতায় অফার করা যায়। আওয়ারলির কাজ করলে আপনার প্রোফাইলের রংক অনেক ওপরে ওঠে যাবে।

আওয়ারলি কীভাবে তৈরি করবেন: টপ নেভিগেশন বার থেকে পোস্ট আওয়ারলি অপশন থেকে আওয়ারলি তৈরি করা হয়। আওয়ারলি তৈরি করার আগে গুগল থেকে মার্কেট রিসার্চ করে কিছু জ্ঞান অর্জন করে নিন। আপনি যে আওয়ারলি অফার করবেন তা বাজারে কতটুকু সারা ফেলতে পারে এমন কিছু চিন্তা করে গুছিয়ে নিন। আপনি যে স্কিল অফার করছেন, সেটা ওখানে উল্লেখ করতে হবে। সর্বোচ্চ তিনটি স্কিল দিতে পারবেন। কোনো স্কিলসেটের অফার করা ভালো যার প্রতিযোগী কম। ফলে খুব সহজেই দূরদর্শী লক্ষ্য আর কাজের নৈপুণ্য দেখানো যায়।

-আওয়ারলি অফারটি বায়ারকে নিতে হলে কত ইউএস ডলার কিংবা পাউন্ড বা ইউরো লাগবে, তা সিলেক্ট করে দিতে হবে। কাজের রেট যত হওয়া উচিত ঠিক ততটুকু রেট উল্লেখ করুন। একাধিক আওয়ারলি তৈরি করা যায়। এ ক্ষেত্রে লাভ হলো বায়ার কোন ধরনের কাজ খুঁজছে তা আপনার পক্ষে বলা মুশকিল, তবে যদি কাছাকাছি স্কিলের একাধিক আওয়ারলি তৈরি করা যায় তবে বায়ার তার চাহিদা অনুসারে সার্ভিসটি পাবে। আওয়ারলি যদি কাছাকাছি স্কিলের হয় তবে যেসব কি-ওয়ার্ড, ছবি ইত্যাদি ব্যবহার করছেন তা যেন অনেকটাই ভিন্ন হয়, এতে করে আপনার আওয়ারলি বায়ারের কাছে বিক্রয়ের জন্য সহজ হবে।

-এবার কাজের ট্যাগ ও ছবি আপলোড করতে হবে। যে কাজের স্কিলটি অফার করছেন সে কাজের ওপর একটি ছবি অথবা ভিডিও আপলোড করতে হবে। ভিডিও আপলোড করলে আপনার আওয়ারলির চাহিদা বেশি হবে। এ ক্ষেত্রে ভিডিও তৈরি করার জন্য মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট দিয়ে অফারের ওপর একটা প্রেজেনটেশন তৈরি করে স্ক্রিন ক্যাপচার দিয়ে রেকর্ড করে ভিডিও বানানো যায়। যদি আরও প্রফেশনাল ভিডিওচিত্রের দরকার হয়, তা অর্ডার করে বানিয়ে নিতে পারেন কোনো মাল্টিমিডিয়া ডেভেলপারের কাছ থেকে। ভিডিওর মধ্যে সংক্ষেপে বর্ণনা, আপনি যে কাজের অফার করছেন, আপনার কাজ কেন অন্যদের চয়ে ভালো এগুলো তুলে ধরুন। তা ছাড়া যদি কোনো অতিরিক্ত অফার থাকে তাও যোগ করতে পারবেন।

-আওয়ারলির ডিটেইলস এ সার্ভিস সম্বন্ধে বিস্তারিত লিখতে হবে যাতে বায়ার সার্ভিস সম্বন্ধে যথেষ্ট ধারণা পায় এবং আকৃষ্ট হয়। আওয়ারলির ডিটেইলস এ সঠিক, নির্ভুল,
যথাযথ ও নিখুঁত বর্ণনা দিতে হবে। বর্ণনাতে বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এবং কাজ শেষ করার পর বায়ার কতটা লাভবান হবে, তা উল্লেখ করে দিতে পারেন।

-বায়ার সার্ভিসটি নিতে হলে কী কী শর্ত পূরণ করতে হবে এ অপশনে এগুলো তুলে ধরতে হবে। এখানে কাজ করার জন্য বায়ারের কাছ থেকে কী কী দরকার হবে তা উল্লেখ করতে হবে। যেমন: সহায়ক ডেটা, ইমেজ বা ডিজিটাল রিসোর্স ইত্যাদি। বায়ারের কাছ থেকে সেলারের চাহিদা উল্লেখ করে দিতে হবে যাতে পরবর্তী সময়ে ডেলিভারি দিতে সমস্যায় না পড়তে হয় অর্থাৎ এ সার্ভিস নিতে হলে বায়ারের এ তথ্যগুলো লাগবে। সুতরাং ডেসক্রিপশনটি এমনভাবে লিখতে হবে যেন এটি পড়লে বায়ার অফারটি কেনার জন্য অর্ডার করে। উপস্থাপনা ভালো হলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে। আওয়ারলি পোষ্ট দেওয়ার আগে টার্মস আর কন্ডিশন চেক করে নিন।

২। ফেবুরাইটস: আপনি আপনার প্রোফাইল থেকে যাদের স্টার দিয়েছেন তাদের তালিকা এবং আপনি কোনো বায়ার বা সেলারকে নিজের প্রিয় তালিকাভুক্ত করে রাখতে পারবেন, যাতে করে তাদের আপডেট সর্বদা চোখের সামনে সহজেই পড়ে। ফেবুরাইটস অনুসন্ধান করার কাজেও ব্যবহার করা যাবে অর্থাৎ আপনি পিপিএইচে পোস্ট করা কোনো অবকেও স্টার দিয়ে রাখতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি জবস, আওয়ারলিস, কালেকশনস ও পিপল এ চার ক্যাটাগরি আওয়ারলি পছন্দের তালিকায় রাখতে পারবেন।
৩। ওয়ার্কস্ট্রিম: বায়ার যদি কোনো মেসেজের উওর দিয়ে থাকে তা ওয়ার্কস্ট্রিমই প্রদর্শন করবে, অনেকটা ফেসবুকের মতো কমেন্টের পিঠে কমেন্ট। মেসেজে লিঙ্কসহ ছবি বা ভিডিও কোনোটাই পোস্ট করতে পারবেন না। প্রপোজাল ফিক্সড বা আওয়ারলি দুটোতেই করা সম্ভব, কাজের প্রস্তাব যদি থাকে তখন তা ফরমাল আকারে আপনি ক্লায়েন্টকে দিতে পারেন। আপনার পেমেন্ট সেটিংসে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট যোগ করা থাকলে তবেই আপনি ইনভয়েজ রেইজ করতে পারবেন।

৪। নোটিফিকেশনস: আপনাকে যদি কেউ অ্যান্ডোর্স বা স্টার দিয়ে থাকে তার নোটিশ প্রদর্শিত হবে, পিপিএইচে একটি প্রোফাইলে স্টার দেওয়া সম্ভব, যার মাধ্যমে সেই স্টারকৃত আওয়ারলি বা মানুষটি ( বায়ার কিংবা সেলার ) আপনার ফেবুরাইটসে যোগ হয়ে যাবে, একই প্রক্রিয়াই একজন সেলারের প্রোফাইল অ্যান্ডোর্স করা সম্ভব, এর মানে আপনি সেলারের কাজ সম্পর্কে অবগত এখন আপনার প্রোফাইল আর আওয়ারলি দুটোতেই স্টার দেওয়া সম্ভব, তবে অ্যান্ডোর্স করা সম্ভব শুধু আপনার প্রোফাইলকেই।

পিপল পার আওয়ারের পেমেন্ট মেথড: বায়ার যখন কাজের অর্ডার করে তখনই তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নেওয়া হয়। অর্ডার কমপ্লিট হলে এবং তা সাবমিট করা হলে পিপল পার আওয়ার থেকেই আপনাকে পে করা হবে। পিপল পার আওয়ারের থেকে বাংলাদেশে সাধারণত ৩ বৈধ উপায়ে টাকা ওঠানো যায়। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে সরাসরি সেই অ্যাকাউন্টে লোকাল ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে পিপল পার আওয়ারের থেকে টাকা ট্রান্সফার করা যায়। অপরটি হচ্ছে পাইওনিয়ার ডেবিট কাডের মাধ্যমে পিপল পার আওয়ার থেকে আয় করা অর্থ সরাসরি এটিএম বুথের মাধ্যমে ওঠানো যায়। পিপল পার আওয়ার থেকে স্ক্রিল কার্ড দিয়েও টাকা ওঠানো যায়।

                     যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা চাই
১। কাজের অর্ডার পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ জমা দিতে না পারলে অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
২। মেসেজে বায়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করার সময় কোনো প্রকার লিঙ্ক, ছবি বা ভিডিও দিতে যাবেন না।

৩। পেমেন্ট মেথড খুব গুরুত্বের সঙ্গে যোগ করতে হবে।
৪। অন্যের অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো কিছুই কপি পেস্ট করে সফল হতে চেষ্টা করবেন না।
৫। কোনোভাবে একের অধিক অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না।
৬। অ্যাকাউন্ট খোলার কিছুদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে। যেমন ভোটার আইডি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট না করলে আইডি পাসপেন্ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৭। অ্যাকাউন্ট খোলার সময় সবকিছু সঠিক তথ্য দিতে হবে। মনে রাখতে হবে ভোটার আইডিতে যে রকম আছে ঠিক সেই রকম।
পিপল পার আওয়ারে কীভাবে টাকা পাবেন: আপনি পিপল পার আওয়ার থেকে পেপার অথবা সরাসরি ব্যাংকে টাকা উইথড্র করতে পারবেন। উইথড্র দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে টাকা চলে আসে।আপনার 

যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে যোগাযোগ করুন

Email: freelancingbd2001@gmail.com 

Mobile: 01941099667

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন