মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০১৯

আগামী প্রজম্নের জন্য কি রকম চাকরি হবে ।


বর্তমানে আমরা দ্রুত পরিবর্তনশীল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এটাকে এক নতুন ধরনের প্রযুক্তিময় টানেলও ভাবিতে পারি, যার শেষে কী আছে, আমরা কেউই তা সুস্পষ্টভাবে জানি না। প্রযুক্তির বিবর্তনের ধারা অনেক বেশি চমৎকৃত, রূপকথার জাদুর কাঠির মতো। আর তাই কেউই বলতে পারি না যে, আজ থেকে দু-এক দশক পর কী কী ধরনের চাকরি এই বিশ্বের বাজারে সবচেয়ে সমাদৃত ও জনপ্রিয় হবে। কিন্তু আমরা এ প্রজম্নের আগ্রহী প্রযুক্তিপ্রেমীরা কল্পনা করতে পারি, সেসব কল্পবিজ্ঞান কাহিনি যেখানে টেলিগ্রাম-টেলিফোন-টেলিভিশনের মতো অদ্ভুত সব যান্ত্রিক যন্ত্রপাতি ছিল। সে সময়ে এসব বস্তুকে রূপকথাই মনে করা হতো। আর এখন? টেলিগ্রাম তো এখন জাদুঘরে, টেলিফোন বিবর্তিত হয়ে প্রযুক্তিময় রূপ গ্রহণ করেছে, টেলিভিশনেরও ধারণা ক্রমশ বদলে গিয়ে শক্ত পদার্থ থেকে নমনীয় কাগজের মতোই হচ্ছে। 

এসবই অতি দ্রুত ঘটে যাচ্ছে বা গেছে মাত্র কয়েক দশকের মধ্যে। এ যেন এক জলজ্যান্ত ভোজবাজি। প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিষ্কার প্রতিনিয়ত জায়গা দখল করছে পুরোনো আবিষ্কারকে পেছনে ফেলে, দ্রুতবেগে। আসলে বিদ্যুৎ বেগে। বিপুল বিস্ময়ে বিশ্বব্যাপী ঘটে চলছে ডিজিটাল বিপ্লব। এ বিপ্লব আমাদের জন্য একই সঙ্গে অনেক আনন্দ ও বেদনার। বায়োটেক, রোবটিকস ও আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিঙ্কস, বিগ ডেটা, ক্লাউড-প্রযুক্তির নতুন নতুন ধারা প্রযুক্তিময় বিশ্বে একধরনের নতুন নতুন শিল্প ও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে। তবে একই সঙ্গে হ্রাস করবে প্রচলিত অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান এবং চাকরির সুযোগ। এদিকে প্রতিনিয়ত বিশ্বব্যাপী মানুষের নিত্যনতুন চাহিদা বাড়ছেই। স্মার্টফোন, ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া, সাড়া বিশ্বের সব শ্রেণিরও বয়সের জনগণের মাঝে স্বতঃস্ফুর্ত ব্যাপক ব্যবহারে মহামারীর মতো বাড়ার কারণে পৃথিবীর সব মানুষের জীবনমানসহ যাবতীয় তথ্যই জানতে পারছে। এর মধ্য দিয়ে মানুষের আয় বৃদ্ধিরও একটা প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, মানুষের বহুবিধ যুগোপযোগী চাহিদা আর প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি।

 এর পাশাপাশি কাজের ধরন পাল্টে যাচ্ছে বলে কিছু কঠিন প্রশ্নের উওরও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসবের উওর অনুসন্ধান করে নিতে হবে এখনই। যেমন প্রযুক্তি এখন বিপুল বিস্ময়ে পাল্টাতে থাকলে আমরা কী করব? কীভাবে আমরা আমাদের পরিবারের যাবতীয় খরচ মেটাব? অদূর ভবিষ্যতের নতুন ও জটিল এই বিশ্বব্যবস্থায় আমরা কীভাবে স্বপ্ন পূরণ করব? এ জন্যই ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে নিজের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে টিকে থাকার জন্য যুযোপযোগী প্রস্তুতি শুরু করতে হবে এখন থেকেই। প্রযুক্তির নতুন ধারার নতুন নতুন প্রযুক্তিময় কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে হলে এখনই উপযুক্ত শিক্ষায় গড়ে তুলতে হইবে প্রযুক্তিপ্রেমী ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। তা না হলে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় প্রযুক্তিতে টিকে থাকতে পারবে না আমাদের তরুন প্রজন্ম। ওই প্রযুক্তিময় ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের সময়ও খুব বেশি নেই আমাদের হাতে। এ জন্য সরকারকেও উপযুক্ত খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। যে ধরনের লাগসই খাতে
বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে বিশ্বের সব উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান আর ব্যাক্তি যেন আমাদের সম্ভাবনার বৃহৎ অংশটি কাজে লাগাতে পারে, সে জন্য যথাযথ শিক্ষা, দক্ষতা ও জ্ঞান বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। আর তাই বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, আমাদের নাতিপুতিরা যখন প্রশ্ন করবে, তুমি যখন জানতে পারলে আগামীর দুনিয়া আমার জন্য খুবই কঠিন হবে, তখন আমার ভালোর জন্য তুমি কী করেছিলে? বলার অপেক্ষা রাখে না, এখনই প্রস্তুতি না নিলে এসব প্রশ্নের উওরে নীরবতা পালন করতে হবে! কারণ অপরাধী তো আমরাই!আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে যোগাযোগ করুন

Email: freelancingbd2001@gmail.com 

Mobile: 01941099667

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন