সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৯

শুরু করুন ই-মেইল মার্কেটিং! জেনে নিন মোঃ দেলোয়ার হোসেন ,আইসিটি বিশেষজ্ঞ টপ.আইটির (পরিচালক)

ই-মেইল মার্কেটিং নিয়ে কথা বলার আগে জেনে নেওয়া দরকার যে, ই-মেইল আসলে কি? তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ই-মেইল কি 

জেনে নিন মোঃ দেলোয়ার  হোসেন ,আইসিটি বিশেষজ্ঞ  টপ.আইটির  (পরিচালক)


ই-মেইলঃ ই-মেইল হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক মেইল, যাকে বলা হয় ডিজিটাল বার্তা। ই-মেইল কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। ১৯৭২ সালে সর্ব প্রথম ই-মেইল ব্যবহার করা হয়।
ই-মেইল পেতে একজন প্রেরক ও একজন প্রাপক দরকার হয়। শুরুর দিকে ই-মেইল পেতে প্রেরক এবং প্রাপক দুইজনকেই অনলাইনে থাকতে হতো। কিন্তু বর্তমানে টেকনোলজির উন্নতির ফলে এই সমস্যাটা আর নেই। প্রেরকের পাঠানো মেইল এখন ই-মেইল সার্ভার সংগ্রহ করে রাখে এবং প্রাপকের কাছে পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে প্রাপক যখনই অনলাইনে আসে তৎক্ষণাৎ উক্ত মেইল পেয়ে যায়। প্রথম দিকে অর্পানেটের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক ভিত্তিক ই-মেইলগুলো আদান-প্রদান করা হতো। কিন্তু এখন এসএমটিপি দিয়ে ই-মেইল আদান-প্রদান করা হয়। আর এই এসএমটিপি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয় ১৯৮২ সালে।
আমরা জেনে গেলাম ই-মেইল কি এবং ই-মেইল কিভাবে কাজ করে। এখন আমরা জেনে নিই ই-মেইল মার্কেটিং কি?
ই-মেইল মার্কেটিং কিঃ আমরা জানি ই-মেইল মানে ইলেক্ট্রনিক মেইল। আর মার্কেটিং অর্থ হলো বাজারকরণ। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে উন্নত মার্কেটিং সাইট হচ্ছে ই-মেইল মার্কেটিং। এই সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্টের তথ্য খুব সহজেই প্রচার চালাতে পারবেন। এতে করে আপনার আয়ের পরিমাণটা অনেকাংশে বেড়ে যাবে। আসলে এটি এমন একটি পদ্ধতি যেটার দ্বারা আপনি কোনো কাস্টমারের ই-মেইলে যে কোনো ধরনের পন্য বা সেবার বিবরণ খুব স্বল্প খরচের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারবেন এবং ক্রেতাকে উক্ত পন্যটি ক্রয় করার জন্য আগ্রহী করে তুলতে পারবেন। এই পদ্ধতিকে কেউ কেউ এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে থাকে।
ই-মেইল মার্কেটিং আসলে তিনটি ধাপ অবলম্বন করে হয়ে থাকে।  নিচে ধাপগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
Letter & Email template: এই ধাপে আপনাকে ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য একটি ইমেইল টেম্পলেট বানাতে হবে। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই ভাবতে হবে যে আপনার চিঠিতে যে পন্যটি সম্পর্কে লিখবেন সেটা দেখতে কেমন হবে এবং প্রাপক কি মনোভাব নিয়ে আপনার চিঠিটি পড়বেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে ভালো মানের রেসপন্সিভ টেম্পলেট সিলেক্ট করতে হবে। এটার জন্য আপনি বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে খোঁজ করতে পারেন। আপনি যদি একজন ভালো মানের ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি টেম্পলেট তৈরি করে থিমফরেস্টে বিক্রিও করতে পারেন।
Email Collecting: ই-মেইল মার্কেটিং-এর অন্যতম কাজ হলো ই-মেইল সংগ্রহ করা। এই কাজটি করতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমানে ই-মেইল কালেক্ট করতে হবে। এর কারণ হচ্ছে এই ই-মেইলগুলোতে আপনি আপনার পণ্যের তথ্য এবং আপনার কথা লিখে পাঠাবেন।
E-mail Delivery: ই-মেইল মার্কেটিং-এর জন্য আপনাকে ডেস্কটপ বেস অথবা অনলাইন ই-মেইল সার্ভার ব্যবহার করতে হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাজনক ও জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো অনলাইন ই-মেইল সার্ভার। এটি বব্যহার করার খরচ অনেক কম এবং অনেক নিরাপদ।
এখন কথা বলবো আমরা ই-মেইল মার্কেটিং কেনো করবো?
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে জানা গেছে ২০১১ সালের ১.৫১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয় শুধুমাত্র এই ই-মেইল মার্কেটিং এর জন্য। আর বর্তমানে ঐ টাকার পরিমাণটা বেড়ে ২.৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আর বর্তমানে যতো কিছু বিক্রি করা হয় তার ২৪ শতাংশই হচ্ছে ই-মেইল মার্কেটিং-এর মাধ্যমে। ই-মেইল মার্কেটিং-এর সবচেয়ে মজার ব্যাপারটা হচ্ছে এটার সবচেয়ে কঠিন বিষয় সমুহ সম্পর্কে জানা খুব সহজ। আর যে কোনো মানুষই ই-মেইল মার্কেটিং এর সব কাজ ঘরে বসেই করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে নতুন করে কোনো অফিস নেওয়ার প্রয়োজন হবেনা। আর আপনার ডিভাইসের সাথে অন্য কোনো হার্ডওয়্যার যুক্ত করার কোনো ঝামেলাও নেই।
এখন কথা বলা যাক ই-মেইল মার্কেটিং এর সুবিধা নিয়েঃ
আমরা অনেকেই ই-মেইল কে শুধু যোগাযোগের একটা মাধ্যম হিসেবে জানতাম। কিন্তু বর্তমান প্রযুক্তির কারনে এর অনেক উন্নতি ঘটেছে। এর ফলে  বিশ্বের অনেক অনেক প্রতিষ্ঠানের পণ্য প্রচার করছে এই ই-মেইল এর দ্বারা।
নিচে ই-মেইল মার্কেটিং এর কিছু সুবিধা দেওয়া হলোঃ
১. ই-মেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব স্বল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে অর্থ উপার্জন করা যায়।
২. ই-মেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার সাইটে প্রচুর ভিজিটর এড করতে পারবেন।
৩. ই-মেইল মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে খুব বেশি হোস্টিং ফি খরচ করতে হবে না।
৪. ই-মেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কমিশনের দ্বারা আয় করতে পারেন।
৫. ই-মেইল মার্কেটিং আপনি যেহেতু ঘরে বসেই করতে পারবেন, সেহেতু আপনাকে নতুন কোনো অফিস নেওয়ার প্রয়োজন হবেনা।
৬. ই-মেইল মার্কেটিং আপনি আপনার স্মার্টফোন অথবা আপনার নর্মাল কম্পিউটার ডিভাইস দ্বারা করতে পারবেন সে জন্য আপনাকে অতিরিক্ত কোনো হার্ডওয়্যার কেনার প্রয়োজন হবেনা।
আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ফেসবুক, টুইটার সহ যতো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং এর কাজ করা হয় তার মধ্যে ই-মেইল মার্কেটিং সবচেয়ে বেশি গতিশীল। তাই আপনাকে খুব দক্ষতার সাথে কাজ করতে হবে।
এখন আসি সবার সাধারণ প্রশ্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েঃ আসলে অনলাইনে কাজ করার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে কর্মদক্ষতাকে সবচাইতে বেশি বেশি বিবেচনা করা হয়। তাই আমি বলতে পারি যে কোনো পেশার যে কোনো  যোগ্যতার মানুষ এই সব কাজ করতে পারেন খুব সহজেই, যদি তার কাজ করার মতো ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারে। সর্বোপরি বলা যায় ইন্টারনেট জগতে পা দিতে চাইলে আপনাকে শিক্ষিত নয় দক্ষ্য হয়ে উঠতে হবে।

আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে যোগাযোগ করুন

Mobile: 01941099667


আমাদের পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে অবশ্যই শেয়ার করবেন। পেইজটিকে Like দিবেন; যাতে আমরা উৎসাহ পাই এবং আপনাদেরকে আরও ভালো ভালো এবং গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দিতে পারি। সকল ধন্যবাদ শুভকামনা রইল।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন