মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৯

লাখো মানুষের ভাগ্য বদলেছে আউটসোর্সিং! জেনে নিন মোঃ দেলোয়ার হোসেন ,আইসিটি বিশেষজ্ঞ টপ.আইটির (পরিচালক)

ঘরে বসে বিশ্বের যেকোন প্রতিষ্ঠানের কাজ করে রেমিট্যান্স আয়ের জনপ্রিয় মাধ্যম আউটসোর্সিং। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি তরুণরাও আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভবিষ্যতে আউটসোর্সিং হতে পারে কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় একটি ক্ষেত্র। আর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ লক্ষ্যে দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করা সফল আউটসোর্সার জাহিদুল ইসলাম। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএম শেষ করার পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসোর্সিংকেই পেশা হিসেবে নেন জাহিদ। তারপরের গল্পটা কেবলই এগিয়ে যাবার। সফল উদ্যোক্তা হিসেবে ২০১৩ বেসিস অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন তিনি। তিনি বলছেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে কেউ তাকে কাজে নিতে চাইতো না, তাই এ পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। কারো বোঝা না হয়ে কারো করুণা ছাড়া নিজের চেষ্টায় সফল হতে চান তিনি।
অজান্তা রেজোয়ানা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএসসি পাশ করে চাকরি নিয়েছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। বেতনও পেতেন ভালো। তবে সংসারের সঙ্গে চাকরির সমন্বয় করতে না পেরে ছাড়তে হয় চাকরি। সেখানেই থেমে যাননি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসোর্সিং করে ঘরে বসেই সাবলম্বী হয়েছেন এ নারী। ২০১৪ সালে দেশের সেরা আউটসোর্সার হিসেবে বেসিস অ্যাওয়ার্ডসহ পেয়েছেন বেশকিছু সম্মাননা।
প্রাকৃতিক নানা উপাদান ব্যবহার করে বিশেষ ধরনের নারকেল তেল তৈরি করছেন সাজিয়া হাসান ইজু। এ তেল বাজারজাত করতে একটু ভিন্ন পথে হাঁটেন তিনি। ২০১২ সালে ফেসবুকে একটি পেইজ খুলে তাতে বিজ্ঞাপন দেন। এরপরের গল্পটা কেবল এগিয়ে যাওয়ার। এখন শুধু দেশ নয়, বিদেশ থেকেও তেল কেনার অর্ডার আসে ইজুর কাছে। ফেসবুক মার্কেটিং-এ অনলাইনে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠান। এর কর্ণধার জানালেন, পণ্য মার্কেটিংয়ে ফেসবুক বিশাল সম্ভাবনার। বছরে শতভাগ প্রবৃদ্ধির গতি নিয়ে এগোচ্ছে খাতটি।
ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং। ইন্টারনেট ব্যবহার করে একা বা অফিস নিয়ে বিশ্বের যেকোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করে দেয়ার একটি মাধ্যম। এরই মধ্যে তরুণ সমাজের কাছেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অর্থ আয়ের মাধ্যমটি। বর্তমানে আউসোর্সিংয়ের সবচেয়ে বড় সাইট- ওডেক্স ও আপওয়ার্কে কাজ করে প্রতি মাসে কয়েকশ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে দেশের তরুণ-তরুণীরা। বিশ্বে অনলাইন মার্কেটিংয়ের বাজার এখন প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্বস্তির কথা ধীর পায়ে এগিয়ে যাওয়া বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান এখন, সপ্তম।
অনলাইন আউটসোর্সিং- আরেক বৃহৎ ওয়েব সাইট আপওয়ার্ক। তবে এই সাইটে নতুন করে কাজের আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন না বাংলাদেশিরা। ইলেকট্রনিক কমার্স বা ই-কমার্স। উন্নত বিশ্বে অনলাইন বাজারের এ ধারণা বেশ পুরনো হলেও বাংলাদেশ এখনো পড়ে আছে শুরুর দিকে। তবে ধীরে ধীরে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাজারটি। ই-কমার্সের উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে, নানা প্রণোদনাও দিচ্ছে, সরকার। গেল কয়েক বছরে বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, ইলেকট্রনিক কমার্স। ক্রেতার আস্থা অর্জন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রসার ও ইন্টারনেটের খরচ কমে আসায়, এ খাতে গত এক বছরে দুই থেকে তিনশ গুণ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে ধারণা, উদ্যোক্তাদের।

আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে যোগাযোগ করুন

Email: freelancingbd2001@gmail.com 

Mobile: 01941099667


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন